নববধূকে হত্যা করে লাশ ওয়্যারড্রপে রেখে থানায় গেলেন স্বামী

নববধূকে হত্যা করে লাশ ওয়্যারড্রপে রেখে থানায় গেলেন স্বামী

নববধূ সুমাইয়া আক্তার হাসিকে (২৭) গলাটিপে হত্যার পর লাশ ওয়্যারড্রপে রেখে নিজেই থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মনোয়ার হোসেন (৩৩)। শুক্রবার দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ২০ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হয়েছিল বলে জানা গেছে।

শুক্রবার ভোরে এই হত্যার ঘটনা ঘটলেও রাত ১০টা ১০ মিনিটে  কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণের পর জানাজানি হয় ঘটনাটি।

পুলিশ জানায়, দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলা এলাকার মৃত শেখ আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে গত ২০ জানুয়ারি বিয়ে হয় বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের কন্যা সুমাইয়া আক্তার হাসির। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে বলে জানায় পুলিশ।

বিয়ের পর তারা দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়া (জেল খানার পেছনে) একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেই বাড়িতেই শুক্রবার ভোরে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হাসিকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ ওয়্যারড্রপের ভেতর রেখে দেন স্বামী মনোয়ার হোসেন।

এরপর রাত ১০টা ১০ মিনিটে কোতোয়ালি থানায় নিজেই হাজির হয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানায় মনোয়ার। এরপর পুলিশ রাতেই ওই  বাড়িতে গিয়ে ওয়্যারড্রপ থেকে সুমাইয়া আক্তার হাসির লাশ উদ্ধার করে।

কোতোয়ালি থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, মনোয়ার হোসেন তাদের কাছে জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৩টা থেকে ৪টার দিকে সেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে সে।

তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন জানান, এর পেছনে আরও অন্য কোনো ঘটনা আছে কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন